সৈয়দ ভাই:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চর-চিতুলিয়া গ্রাম—যে গ্রামটির এখন কেবল নামটুকুই রয়েছে মানচিত্রে, বাস্তবে তা বিলীন হয়ে গেছে যমুনার গর্ভে। শত বছরের আবাসভূমি, চাষাবাদের মাঠ, স্কুল-মসজিদ—সবই গিলে নিয়েছে অবিরত বয়ে চলা নদী। তবে এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও অদম্যভাবে টিকে আছে একটি কিছুর অস্তিত্ব—চর-চিতুলিয়া পাড়া জামে মসজিদ।
টিন, কাঠ, সিমেন্ট আর মানুষের ভালোবাসায় গড়ে ওঠা এই মসজিদটি এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, যদিও এর অবস্থান বদলেছে তিনবার। ৬০ বছর বয়সী এই মসজিদটি নদীভাঙনের কারণে প্রায় ৩০ বছর আগে বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে দু’বার পুরোনো অবস্থান থেকে বিলীন হয়ে গিয়েছিল যমুনায়।
দুস্থ চরাঞ্চলের মানুষদের দান-অনুদানেই চলে মসজিদটির কার্যক্রম। এক সময় জায়গার অভাবে ছয় মাস বন্ধ ছিল নামাজের কার্যক্রমও। পরে সেতু কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অস্থায়ীভাবে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) জায়গায় পুনরায় শুরু হয় ধর্মীয় কর্মকাণ্ড।
এখানে কর্মরত ইমাম, যিনি নামমাত্র সম্মানী পেলেও কোনো অভিযোগ নেই তার কণ্ঠে। ইসলামি খেদমতকে তিনি দেখেন ইমানি দায়িত্ব হিসেবে। সহযোগিতা পেলে এলাকায় একটি মাদ্রাসা চালু করারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

0 Comments